Friday, 5 July 2013

অনন্ত প্রেম


“অনন্ত প্রেম”
__রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার–
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।

যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমির রজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।

আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগলপ্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে

[[Younis you]]

কার প্রতীক্ষায় আছো



কার প্রতীক্ষায় আছো

বলো, কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী?
আমার ভেতরে নিশিদিন অগণিত শিশু
পাঠশালা যায় আসে বানায় রঙিন স্বপ্ন কবিতার বই
নিপুণ বাঁধাই জরিমোড়া।
নিশিদিন আমার ভেতরে শব্দ নিয়ে লুফোলুফি হয়
কৌতুক জলসায় মাতে গ্রাম্যবধুরা লোকালয়ে, স্বার্থপর
পারিনি তাদের আমি পরাতে এখনো কোনো
সুনিপুন পোশাক-আশাক, পারিনি দুলাতে আজো
কর্ণমূলে লোভনীয় কোনো মণিহার।

কার প্রতীক্ষায় কাটে বেলা? আমার আকাশে ওঠে
অগণিত জ্বলজ্বলে তারা, ওঠে চাঁদ মধ্য-রজনীতে
কোনোদিন ঢেলে দেয় জোৎস্না ঘরময়,
কুয়াশায় ভিজে বুক নাভিমূলে কোমল-কোমল পেলবতা
আড়ষ্ট কপোল-জোড় ভেজাই আদরে নির্দ্বিধায়,
বুলাতে পারিনি তবু পরিত্যক্ত শিয়রে তাদের
কোনোদিনও মোমের আঙুল।

বলো কার প্রতীক্ষায় হে আমার শব্দাবলী গনগনে
জাগ্রত শিশুর কান্না শুনে কাটাও রজনী অবিশ্রাম?
ভেতরে আমার নিশিদিন পদধ্বনি বেজে ওঠে কার,
কার নিত্য আগমন আমাকে ভুলিয়ে রেখে বেশ
নিয়মিত ঘর-গেরস্থালী সাজায় আদরে,বলো
কার প্রতীক্ষায় আছো হে আমার দুঃখী শব্দাবলী
ঘুমহীন?


[[Younis you]]

কোষ্টী বলছে



কোষ্টী বলছে -
আমার মৃত্যুর কারণ হবে বিষক্রিয়া।
আমি বৃক্ষ বর্ষীয় বিষ বুকপকেটে রেখে
ন্যাড়া ছাঁদের কার্নিশ থেকে ঘুরে এসেছি।
এক দুই তিন করে গুনেছি সময় ;

অতঃপর প্রকাশ্য রাজপথে ,
... যুবা অশ্বা নারীর বাঁক আঁক শরীর
আহার করেছি রূপদক্ষ চোখে।
কপালে তাঁর অভ্রের চাঁদ ,
পরনে মেঘের জল।
হায় ভাগ্য !
ঠিক তখনই আমার মৃত্যু সুনিশ্চিত হলো !

জানি না কোষ্ঠী ঠিক
এই মৃত্যুর কথা বলেছে কি না !
আমি ঈশান কোনের ঈশ্বরকে
প্রশ্ন ছুঁড়ে বললাম ,
হে ঈশ্বর এই মৃত্যুর পর
আর কোনও মৃত্যু বেঁচে থাকে ?


[[Younis you]]

যাও পাখি বলো তা


“যাও পাখি বলো তারে” (মনপুরা)
___কৃষ্ণকলি ও চন্দনা মজুমদার

সোনারও পালঙ্কের ঘরে
লিখে রেখে ছিলেম দ্বারে
যাও পাখি বলো তারে
সে যেন ভোলে না মোরে
সুখে থেক, ভালো থেক
মনে রেখ এ আমারে ।।

বুকের ভেতর নোনা ব্যাথা
চোখে আমার ঝরে কথা
এপার ওপার তোলপার একা

মেঘের ওপর আকাশ ওড়ে
নদীর ওপার পাখির বাসা
মনে বন্ধু বড়ো আশা ।।

যাও পাখি যারে উড়ে
তারে কয়ো আমার হয়ে
চোখ জ্বলে যায় দেখব তারে
মন চলে যায় অদূর দূরে
যাও পাখি বলো তারে
সে যেন ভোলে না মোরে
সুখে থেক, ভালো থেক
মনে রেখ এ আমারে ।।


[[Younis you]]

তোমার ক্ষমতা


“তোমার ক্ষমতা”
__হুমায়ুন আজাদ

তুমি ভাঙতে পারো বুক শুষে নিতে পারো সব রক্ত ও লবণ
বিষাক্ত করতে পারো ঘুম স্বপ্নময় ঘুমের জগত
তছনছ ক’রে দিতে পারো তুমি বন উপবন
উল্টেপাল্টে দিতে পারো সব সিঁড়ি লিফট্ রাজপথ

মিশিয়ে দিতেও পারো সঙ্গীতের সুরেসুরে বিষ
আমাকে প্রগাঢ় কোনো আত্নহত্যায় উৎসাহিত ক’রে দিতে পারো
ম’রে যাবে ধানক্ষেত ঝ’রে যাবে পাখিদের শিস
তোমার ক্ষমতা আছে পারো তুমি আরো

আমাকে মাতাল ক’রে ছেড়ে দিতে পারো তুমি গলির ভেতরে
সমস্ত সড়কে তুমি জ্বালতে পারো লাল সিগনাল
বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ ক’রে দিতে পারো জীবনের সবগুলো ঘরে
এর বেশি আর তুমি কি পারো তমাল ?


[[Younis you]]

সুখ নামের ছোট্র নৌকায়


সুখ নামের ছোট্র নৌকায় আমি দুঃখের মাঝি,
আমার কষ্ট ভাগ করতে কেউ হয়নি রাজী। এই
জীবনে চলতে গিয়ে পাইনি সুখের দেখা, শান্ত
নদীর মাঝে আমি তাই চলছি একা। দুঃখ
আছে মনে মনে,
কইবো আমি কার সনে?
শোনার মতো মানুষ নাই,
নিজের কষ্ট নিজেই পাই,
যখন পাবো তার দেখা,
বলবো আমার সব কথা।
দুঃখ নামের স্টেশনে থামলো জীবন গাড়ী,
আজো খুজে পেলামনা কোথায় সুখের বাড়ি।
বিধাতার কলমে বুঝি ছিলোনা কালি, সুখ
নামেরি জায়গাটা পড়ে আছে আজো খালি।


[[Younis you]]

তোমার নাম লিখতে লিখতে


তোমার নাম লিখতে লিখতে
নির্মলেন্দু গুণ

এ পর্যন্ত তেত্রিশ কোটি বার তোমার নাম
লিখেছি।
তোমার নাম লিখতে লিখতে হাত ক্লান্ত
হয়েছে,
চোখ তবুও ক্লান্ত হয় না। দেখতে চায় তোমার
নামের শ্রী,
বানান, ব্যাকরণে এবং সম্মিলিত শব্দের
চেহারায়।
যেখানে তিনটি অক্ষরের ক্রমিক আড়াল
ভেঙে বেড়িয়ে আসে
তোমার হারিয়ে যাওয়া মুখ, গৌরচিক্কন
কন্ঠনালী, কোঁকড়ানো
চুলের এলানো খোঁপায়
জড়ানো একটুকরো লাল ফিতে।
কালো চশমার স্বপ্ন ঢাকা চোখ,
কিংবা শৈশবে হোঁচট খাওয়া
ঠোঁটের আদুরে দাগে সুন্দরের অনাবিস্কৃত
শোভা।

তারপর সমস্ত শরীর
ফেলে সোজা নেমে আসে তোমার ঐ
পায়ের তলায়, পদপ্রান্তে,
যেখানে অজান্তে ঘুমে একদিন আমি
হাত বুলিয়েছিলাম, অর্থাৎ যা কিছু তোমার,
তার দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রায় সবাই
আমি দেখি তোমার নামের মধ্যে, যে নাম
লিখতে লিখতে
হাত ক্লান্ত হয়, জীবন প্রার্থনা করে মুক্তির,
অথচ চোখ ক্লান্ত হয় না।

[Younis you ]



তুমি ভালো না বাসলে


তুমি ভালো না বাসলেই বুঝতে পারি ভালোবাসা আছে।
তুমি ভালো না বাসলেই ভালোবাসা জীবনের নাম
ভালোবাসা ভালোবাসা বলে
দাঁড়ালে দু’হাত পেতে
ফিরিয়ে দিলেই
বুঝতে পারি ভালোবাসা আছে।

না না বলে ফেরালেই
বুঝতে পারি ফিরে যাওয়া যায় না কখনো।
না না বলে ফিরিয়ে দিলেই
ঘাতক পাখির ডাক শুনতে পাই চরাচরময়

সুসজ্জিত ঘরবাড়ি
সখের বাগান
সভামঞ্চে করতালি
জয়ধ্বনি পুষ্পার্ঘ্য ইত্যাদি
সব ফেলে
তোমার পায়ের কাছে অস্তিত্ব লুটিয়ে দিয়ে
তোমাকে না পেলে, জানি
যে পায়, সে পায়
কি অমূল্য ধন ।


[Younis you]

ইচ্ছে ছিলো তোমাকে


ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো
ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।

ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতো
সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা
পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো।

ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে
রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে,
জন্মাবধি আমার শীতল চোখ
তাপ নেবে তোমার দু’চোখে।

ইচ্ছে ছিল রাজা হবো
তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
আজ দেখি রাজ্য আছে
রাজা আছে
ইচ্ছে আছে,
শুধু তুমি অন্য ঘরে।

[Younis you]

পৃথিবীকে ভালোবেসে চাঁদ আসে কাছে


পৃথিবীকে ভালোবেসে চাঁদ
আসে কাছে
আমায় ভালোবেসে তুমি কেন
আসো না,
রাতকে ভালোবেসে জোসনা ছড়ায় 
আলো তোমার আলোয় আমায় কেন
আলোকিত কর না ?
ভ্রমর আসবে বলে গন্ধ বিলায় ফুল
আমার সুবাস কি তুমি পাও না ?
পূর্ণ হবে বলে নদী মেলে মোহনায়
তবে কেন আমি পাই না তোমায় ?
এত করে ডাকি তবু কেন এমন
লুকোচুরি খেলা বোঝে না তো মন,
পেতে চায় তোমায় করে শুধূ আপন
যায় না কি ভাঙ্গা ছলনার বাঁধন
কবে হবে সেই কাক্ষিত মিলন ?


[[Younis you]]

হে আকাশ


হে আকাশ ! আমি শুধু তোকে একবার ছোঁব,তোর
শুভ্র মেঘের জলে মন ভেজাব,তোর নীলিমায়
আপন অস্তিত্ব খুঁজব,তোকে পরম
সোহাগে বুকে জড়াব,তোর সাগরে নৌকো ভাসাব , 
আকাশ,তোকে নিয়ে পাড়ি জমাব স্বর্গলোকের রাজ্যে । 
শুধু তুই পাশে থাকিস আমার প্রিয়জন হয়ে ।


[[Younis you]]

বৃষ্টি ভেজা আকাশ মাটি



বৃষ্টি ভেজা আকাশ মাটি
বৃষ্টি ভেজা আমি, 
হারিয়ে যেতাম অনেক দুরে
যদি পাশে থাকতে তুমি। 
মধুর এই ক্ষনে
পরছে তোমায় মনে,
কোথায় তুমি আমার ভালোবাসা
ফিরে এসো এই বৃষ্টি ময় লগ্নে।


[[Younis You]]

আজ এমন লাগছে কেন?



আজ এমন লাগছে কেন?
মন চাচ্ছে তোমার হাত ধরে সমুদ্র
পাড়ে ভেজা বালু তে হেঁটে বেড়াই ,
মন চাচ্ছে অনন্তকাল ধরে তোমার
বুকে মাথা রেখে তোমার
হৃদয়ের স্পন্ধন অনুভব করি,
মন চাচ্ছে পলকহীন
ভাবে তোমার দিকে চেয়ে থাকি,
মন চাচ্ছে আশে পাশে সব কিছু ভুলে
আজ তোমার ভেতর ডুবে থাকি,
মন চাচ্ছে আজ তোমায় নিয়ে
রূপ কথার গল্পে হারিয়ে যাই,
যেখানে তুমি থাকবে রাণী
আর আমি রাজা ,
মন চাচ্ছে আপন করে নেই
তোমাকে সারা জীবনের মত,
আর কারো ভালবাসার অধিকার
থাকবেনা তোমাকে।
 

[[Younis You]]

তুমি কষ্ট দিবে বলেই


তুমি কষ্ট দিবে বলেই
হয়তো তোমাকে ভালবেসেছি, 
তুমি অনেক দুরে যাবে বলেই 
হয়তো তোমার এতো কাছে এসেছি, 
তুমি হারিয়ে যাবে বলেই
হয়তো তোমাকেই বার বার খুজি,
তুমি কাঁদাবে বলেই হয়তো চোখের
কোণে এতো জল পুষে রাখি।

[[Younis you]]

চলে যেতে যেতে


চলে যেতে যেতে
থমকে যাবার কথা ছিলোনা।
তবু থমকাতে হলো,
দমকা হাওয়ার মত আবেগ উড়ে যায়-
কখনো থামে, কখনো ভাবে
কখনো ভাবে, কখনো থামেনা
কোন কিছুই আর নিয়মের ভিতর নয়।
চার বেহারার পালকিতে চড়ে যেদিন চলে যাব
সেদিন বুঝবে-
তোমাদের কতটা আপন ছিলেম অথবা কতটা পর।
দূর থেকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর
কিছুই থাকবেনা করবার
যদিও বা তোমরা চাও।
কুলের বধুদের কলস ভরে জল নেবার শব্দ পাবো,
শুধু শুনবেনা তোমরা আমার আর্তনাদ।

\Younis you /

যখন নিজের অজান্তে


যখন নিজের অজান্তে
কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেলি ,
তখন নিজেকে বড়
অপরাধী মনে হয়, 
আর 
যখন কেউ আমাকে কষ্ট দেয় ,
তখন মনে হয় এটাই
আমার পাওনা ছিল।

\Younis you /

ভেবে ছিলাম আমার হাতে হাত রেখে চলবে


ভেবে ছিলাম আমার হাতে হাত
রেখে চলবে
তোমার হাত ধরে আমি চলব
আমি অনেকটা পথ চলেছি,
বলেছিলাম তোমায়
বহু দূর যেতে!
এখন অনেকটা পথ বাকি রয়েছে
মনে ভালবাসার বিশ্বাস রেখ,
হয়ত কোন এক সময়
আমাকে অচেনা মনে হতে পারে
তবুও তুমি ভয় পেওনা,
তবুও থেমে যেওনা পথ চলতে
তুমি ঠিকই পথ চলেছ
ছেড়ে দিয়েছ আমার হাত
নতুন করে পথ চলতে শিখেছ
নিজের মত করে অন্যের হাত ধরতে
তাই আজ বাস্তব আর
কল্পনা দুটাকেই মিথ্যা মনে হয়
ভয় লাগছে নতুন করে কিছু পেতে
নতুন করে কাওকে ভালবাসতে
কারন আমি যে নতুন করে আর কিছুই
হারাতে চাইনা!


Younis  you

সুন্দর একটি জীবন ছিলো


সুন্দর একটি জীবন ছিলো
ঘর ভরা সুখ ছিলো
ঘরের সব মানুষ প্রিয় ছিলো
আজ আমার সব গেলো
একটি মাত্র ভুল ছিলো
ভালোবাসা ছিলো
ভালোবাসার মানুষ ছিলো
প্রজাপতির পাখায় রঙ ছিলো
আকাশ ভরা তাঁরা ছিলো
এখন আমার কিছু নাই
একটি মাত্র ভুল ছাড়া ।
 


____Younis you____

বন্ধু এবং বৃষ্টিস্নান


"বন্ধু এবং বৃষ্টিস্নান"

তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
হাঁটব দুজন মেঘলা দিনে।
তুমি কি আমায় পাশে নেবে?
হেমন্তের এই বৃষ্টিস্নানে।

তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
পাশে তোমায় পাব খুঁজে,
তুমি কি আমার পাশে রবে?
দেখব তোমায় দুচোখ বুজে?

তুমি কি আমায় বন্ধু ভেবে-
বাড়িয়ে দেবে তোমার হাত?
তুমি কি আমার সঙ্গী হবে?
গল্প শোনাব সারা রাত।

তুমি কি আমার সাথে যাবে?
হাঁটব দুজন পাশাপাশি।
তুমি কি আমায় সাহস দেবে?
তোমায় একটু ভালবাসি?

হলেনা তুমি বন্ধু আমার,
করলে অভিমান,
তোমায় নিয়ে হলনা আমার,
অধরা বৃষ্টিস্নান।

[[Younis you]]

বাদল দিনের কদমফুলে


বাদল দিনের কদমফুলে
বৃষ্টি নামুক হেসে
সবাই যেন বাদলদিনে
সুখ যমুনায় ভেসে।

বর্ষা এলো সজল চোখে
মরা নদে চর
উথলে উঠুক বর্ষা সুখে
সব বাঙালির ঘর।


[[Younis you]]

আমি মন্ময় হয়ে যাই,


আমি মন্ময় হয়ে যাই,
তোমার চোখেতে আজো আমি সেই প্রনয় দেখতে পাই।
আমি মন্ময় হয়ে যাই,
তোমার চোখেতে আজো আমি সেই প্রনয় দেখতে পাই।
চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে তবু ঘুম আসেনা,
জানিনা কদিন হয়ে গেলো এই ঠোঁট হাসে না। 


__Younis you__

কষ্টগুলোকে আজ ছুটি দিলাম


কষ্টগুলোকে আজ ছুটি দিলাম
ভাসিয়ে দিলাম কান্নার লোনা জলে
মুক্তি দিলাম তোমাকেও
আর আসব না জ্বালাতে।
কাঁদাবো না আর
তোমার নয়ন দুটিকে
হাসাবো না ওই ঠোঁট দুটিকে
ভাঙ্গব না আর ঘুম তোমার
বলব না আর নির্ঘুম রাত কাটাতে।
সত্যিই আজ মুক্ত তুমি
যে বাম পাঁজরে রাখার জন্য তোমায়
এতো ঝগড়া,এতো বোঝাপড়া
আর নেই তুমি সেখানটাতে
যেতে পারো তুমি অন্য কোথাও
যদি অন্য কাউকে ভালো লাগে
দাঁড়াবো না কখনো সামনে তোমার
ভালোবাসার দাবি নিয়ে।
সত্যিই আর নেই তুমি আমার
কিন্তু আমার ভালোবাসাটুকু রবে
শুধুই তোমার। 


[[ Younis you ]]

Thursday, 4 July 2013

ওটা কিছু নয়


“ওটা কিছু নয়”
___নির্মলেন্দু গুণ

এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ?
পাচ্ছো না ?
একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।
এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব ?
পাচ্ছো না ?
তেমার জন্মান্ধ চোখে শুধু ভুল অন্ধকার । ওটা নয়,
ওটা চুল ।
এই হলো আমার আঙ্গুল, এইবার স্পর্শ করো,–না, না,
না,
-ওটা নয়, ওটা কন্ঠনালী, গরলবিশ্বাসী এক শিল্পীর
মাটির ভাস্কর্য, ওটা অগ্নি নয়, অই আমি–আমার
যৌবন ।
সুখের সামান্য নিচে কেটে ফেলা যন্ত্রণার কবন্ধ–
প্রেমিক,
ওখানে কী খোঁজ তুমি ? ওটা কিছু নয়, ওটা দুঃখ ;
রমণীর ভালোবাসা না-পাওয়ার চিহ্ন
বুকে নিয়ে ওটা নদী,
নীল হয়ে জমে আছে ঘাসে,–এর ঠিক ডানপাশে ,
অইখানে
হাত দাও, হ্যাঁ, ওটা বুক, অইখানে হাতা রাখো, ওটাই
হৃদয় ।
অইখানে থাকে প্রেম, থাকে স্মৃতি, থাকে সুখ,
প্রেমের সিম্পনি ;
অই বুকে প্রেম ছিল, স্মৃতি ছিল, সব ছিল তুমিই
থাকো নি ।


[[Younis you]]

আমি অনেক কষ্টে আছি


“আমি অনেক কষ্টে আছি”
আবুল হাসান

আমার এখন নিজের কাছে নিজের ছায়া খারাপ লাগে
রাত্রিবেলা ট্রেনের বাঁশি শুনতে আমার খারাপ লাগে
জামার বোতাম আটকাতে অমন কেন যত্ন করে
লাগিয়ে দিতে ?
অমন কেন শরীর থেকে আসতে আমার
ক্লান্তিগুলো উঠিয়ে নিতে ?
তোমার বুকের নিশিথ কুসুম আমার মুখে ছড়িয়ে দিতে ?
জুতোর ফিতে প্রজাপতির মতন তুমি উড়িয়ে নিতে ?
বেলজিয়ামের আয়্নাখানি কেন তুমি ঘোর না রেখে
অমন কারুকাজের সাথে তোমার দুটি চোখের মধ্যে
রেখে দিতে ?
রেখে দিতে ?
আমার এখন চাঁদ দেখতে খারাপ লাগে
পাখির জুলুম,মেঘের জুলুম, খারাপ লাগে!

কথাবার্তায় দয়ালু আর পোশাকে বেশ ভদ্র মানুষ
খারাপ লাগে,
এই যে মানুষ মুখে একটা মনে একটা ...
খারাপ লাগে
খারাপ লাগে
মোটের উপর আমি এখন কষ্টে আছি,
কষ্টে আছি বুঝলে যুথী
আমার দাঁতে আমার নাকে, আমার চোখে কষ্ট ভীষণ
চতুর্দিকে দাবী আদায় করার মতো মিছিল তাদের কষ্ট
ভীষণ
বুঝলে যুথী,
হাসি খুশী উড়নচন্ডী মানুষ আমার তাইতো এখন খারাপ
লাগে
খারাপ লাগে
আর তাছাড়া আমি কি আর যীশু না হাবিজাবি
ওদের মতো সব সহিষ্ণু ?
আমি অনেক কষ্টে আছি, কষ্টে আছি;
কষ্টে আছি আমি অনেক।

____Younis you____

শুধু ভালোবাসা চেয়ে ফিরে গেল


মর্গের শীতলতা ছুঁয়ে যবে
গনগনে পুড়ে হবো ছাই একবুক ভালোবাসা,
সেদিন দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য,
রাগে ক্ষোভে অভিমানে
অস্ফুটে কেঁদে কেঁদে বলে যাবো.....
"শুধু ভালোবাসা চেয়ে ফিরে গেল
অবুজ আরো একবার।"

তৃণাগ্রে পুঞ্জীভূত স্বচ্ছ সে ভালোবাসা
ঝরে যাবো যবে বিন্দু বিন্দু অকালে,
জলচর ভালোবাসা উত্‍খাত হবো যবে
কঠিন সে দোলাচলে কালের স্রোতে,
পদ্মপত্রে একাগ্র ভালোবাসা যবে
অভিমানে চলে যাবো নগ্নপদে,
বেআবরু শরীর,
সে দিন হয়তো ভাতে ফ্যানে ছড়াছড়ি,
তোর উদবৃত্ত প্রেম!
অস্ফূটে সেদিন বলে যাবো অভিমানে
"শুধু ভালোবাসা চেয়ে ফিরে গেল
সদ্য কাঁচা আরো একবার।


[Younis you]

আমি তোমার ভেজা চোখে দেখতে চাই


আমি তোমার ভেজা চোখে দেখতে চাই
ভালবাসা হারানোর অসমক্ষ ভয়।
আরো বেশি ভালবাসা পেতে,
আরো বেশি কাদাতে পারি তোমাকে-
তোমার কান্না আমাকে নিশ্চয়তা দেয়,
তোমার অনুদ্ধত চাহুনি আমার অহং বিস্তৃত করে।

হয়তো মানসিক এই নিষ্ঠুর খেলা
তোমাকে আমার আরো কাছে নিয়ে আসে।
কেদে কেদে অভিমানে- যে তুমি
আমাকে ভালবাসতে থাকো,
কোন এক নিস্প্রভ অবসরে সেই তুমিই চুপিচুপি হাসো।
নিঃসঙ্গতার আবরণে, নিগূঢ় কষ্ট আলিঙ্গনে।
আর আমি ভালবাসার পাহাড় গড়তে থাকি
আত্নাহুতির অভিযোজনে।


[[Younis you]]

তোমাকে Love করি।


একটা ছেলে যদি একটা মেয়েকে Propose
করে,
তখন মেয়েটা ৬ রকমের
উত্তর দিতে পারে : 

⇓ আমাকে একটু সময়
দাও. .আমি তোমাকে জানাবো.

⇓ এটা আমার
পক্ষে সম্ভব নাহ।But
আমরা সবসময়
ভালো Friend
হিসেবে থাকতে পারি।

⇓ এখন আমাদের এসব
এর
দিকে না গিয়ে পড়ালেখায়
মনোযোগ
দেওয়া দরকার।

⇓ আমি আরেকটা ছেলে কে খুব
Like করি।
সরি,এটা আমার
পক্ষে মে বি Possible
না।

⇓ ঠাশ্..... ঠাশ্.....
ঠা..আশ্!! (ছেলেটির
গালে হাত
চলে যাবে।

⇓ এটা বলতে এতোদিন
লাগে ! গাধা কোথাকার!
আমিও
তো তোমাকে Love
করি।


Younis  you

তুমি আসবে বলে আমি কতদিন


তুমি আসবে বলে আমি কতদিন চৈত্রের কাঠফাটা রৌদ্রে সেই নির্জন পিচঢালা রাস্তার মোড়ে একাকী দাড়িয়ে ছিলাম দুপুর থেকে বিকাল অবধি। সময় আস্তে আস্তে গড়িয়ে যাচ্ছিল আর সন্ধার কালো ছায়া নামতে শুরু করেছিল। নিসঙ্গতার ভয়ঙ্কর অনুভূতি আর অপেক্ষার ক্লান্তি আমার শ্বাসরোধ করে দিচ্ছিল বারবার। তবুও আমি দাড়িয়েছিলাম একরাশ আশা নিয়ে, তুমি আসবে। কিন্তু না তুমি আর এলেই না। তুমি যে আসার কথাটা মাথায়-ই রাখোনি কোনদিন। আশাটাকে হতাশার জলে চুবিয়েই ফিরতে হয়েছে আমায় কতদিন! — 


---[Younis you]---

ভালোবাসে


একটা বোবা ছেলে একটা অন্ধ মেয়েকে ভালোবাসে । ছেলেটা কি করে , কারো সাহায্য ছাড়াই মেয়ে টাকে তার মনের কথাটা জনাবে ? অর্থাত্‍ কি করে অন্ধ মেয়ে টাকে বলবে "সে তাকে ভালোবাসে" ? গঠন মূলক উত্তর আশা করি।


[ Younis you ]

ভালবাসা হচ্ছে একটি ছোট নৌকা


ভালবাসা হচ্ছে একটি ছোট নৌকার মত।যার মাঝি হচ্ছেন আপনি আর বৈঠা হচ্ছে আপনার ভালবাসার মানুষটি। যখন বৈঠা থাকে তখন সকল ঝড় সামলে নৌকা এগিয়ে যেতে থাকে। আর যখন বৈঠা থাকে না তখন শান্ত আবহাওয়াতেও নৌকাটি নদীতে ঘুরতে থাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে।



[ Younis you ]

মানুষ খুব কষ্ট পায়


যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক।
কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়।
আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেক বেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।


                                                      [Younis you ]

অনুভূতির


অনুভূতির দরজাগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি সেই কবে,
এখন আর ব্যথা, বঞ্চনা, উপেক্ষা আমাকে স্পর্শ করে না।
সব সমীকরণের হিসেবও মিলে গেছে খুব সহজেই
তবুও নিজেকে নিয়ে ভাবছি একা বসে এ বৃষ্টি বেলায়.



_____Younis you______

মেঘবতী, ঘুমিয়ে পড়েছো?


মেঘবতী, ঘুমিয়ে পড়েছো?
ঘুমোওনি জানি,
প্লিজ দক্ষিনের আকাশ দেখ,
কিছু মেঘ পাঠিয়েছি তোমার নামে,
বিধাতার কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি,
পরিচ্ছন কিছু বিশুদ্ধ মেঘ,
একান্তই তোমাকে ভাঁসাবো বলে ।
প্রার্থনা মলিন হয়নি আমার,
তিনি নিশ্চয় দিয়েছেন হুকুম
মেঘের দল কে দক্ষিনে যেতে,
তাইতো মেঘেরা বিড় করেছে দক্ষিনের আকাশে ।
একাকীত্বের বৃষ্টিতে ভিজেছি ঢের,
কল্পনার বৃষ্টি হার মেনেছে বহু কাল আগে,
কালের অতিথী হয়ে বিভত্স আমি,
নিঃস্নেহতাকে আকড়ে ধরে শক্ত হাতে,
বিধাতার কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি,
এক টুকরো মেঘের ভেলা,
একান্ত তোমাকে ভাঁসাবো বলে ।


_____Younis you____